শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২৪ অপরাহ্ন

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গণডাকাতি, ২ যাত্রী আহত, এক ডাকাতের মৃত্যু

মোঃ রেজাউল করিম রয়েল, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক গাড়িতে গণডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১ ডাকাত সদস্যের মৃত্যু এবং ডাকাতের ছুরিকাঘাতে দুজন যাত্রী আহত।

সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মহাসড়কের শ্রীনগর উপজেলার কেওয়াটখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, ঢাকার রায়েরবাগ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হৃদয় (১৭) ও মোহাম্মদ ইমাম হোসেন(১৮)।

পুলিশ জানায়, নিহত ঐ ব্যক্তি ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার নাম আব্দুল মালেক ওরফে আব্দুল আলীম (২৯)। তার বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিনাপাল এলাকায়। তার বিরুদ্ধে ঢাকা, গাজিপুর, পটুয়াখালীতে ৪ টি ডাকাতি মামলা ছিল।

স্থানীয়রা জানায়, রোবিবার মধ্যরাত থেকেই বৃষ্টির কারনে যানবাহন ধীর গতিতে চলছিল। মহাসড়কের কেওয়াটখালী এলাকা নিরব থাকায় সেখানে সক্রিয় একটি ডাকাতদল সিএনজি ও প্রাইভেটকারে ডাকাতি করছিল। ডাকাতির সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরও করে। পুলিশ আসার খবরে ডাকাতরা পালানোর সময় ডাকাত দলের এক সদস্য অজ্ঞান হয়ে রেল সড়কের পাশে পড়ে থাকে।

ডাকাতির ঘটনায় আহত হৃদয় বলেন, তারা ৮ বন্ধু রাজধানীর রায়েরবাগ থেকে সিএনজিতে করে মাওয়ায় ঘুরতে আসেন। বাড়ি ফেরার পথে রাত ৩টার দিকে কেওয়াটখালী এলাকা আসলে ৬ থেকে ৭ জনের একটি ডাকাত দল তাদের সিএনজিটি আটক করে। ডাকাতরা মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা সব ছিনিয়ে নেয়। এতে হৃদয় ও তার বন্ধু ইমাম হোসেন আহত হন।

আহত ইমাম হোসেন বলেন, ডাকাত রামদা দিয়ে আমার হাতের কব্জি লক্ষ্য করে কোপ দেয়। আমি হাত সরিয়ে নিলে আমার আঙ্গুলের মধ্যে কোপ লাগে। তারা আমাদের থামিয়ে রেখে আরো একটি সিএনজি ও একটি প্রাইভেটকারে ডাকাতি করে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড. মারুফা ইসলাম বলেন, ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে তিনজনকে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আনা হয়। শুনেছি এদের মধ্যে দুই তরুণ ডাকাতের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন ছিলনা। সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে সে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। মৃত্যুর প্রকৃত কারন ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল সে সুযোগ নিয়ে ডাকাত চক্র সিএনজি, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে ডাকাতি করেছিল। আমাদের টহল দল সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পালাতে চেষ্টা করে। সেসময় কেওয়াটখালী এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ডিভাইডারে ডাকাতদের একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে হাসপাতালে আসি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com